মান্তুদের ঘরে,বসা থাকে দাঁড়ে,
একটি কাকাতুয়া,
ঘরের জিনিস দামি,সামান্য বা নামি,
যেত নাকো ছোঁয়া!
যদি কেউ চায়,পাখীরে শুধায়,
কি নাম বল তোর?
একটাই কথা,মুখে ওর রটা,
বলে—চোর,চোর,চোর!
নানা রঙ্গতে,নানা ভঙ্গিতে,
কয় সে একই কথা,
কখনো লাফিয়ে,চোখ পাকিয়ে,
বলে চোর,চোর,অযথা।
সে দিন হোল কি,শোন তা বলি,
গভীর সেই রাতে
সবাই ছিল কাত,ঘুমে চিৎপাত,
মগ্নতার সাথে।
এক চোরের দল,বেঁধে দঙ্গল,
করতে এলো চুরি,
মান্তুদের ঘরে,ওরা ঢুকে পড়ে,
পকেটে ওদের ছুরি!
ক’পা এগিয়ে,পাখীর ঘরে গিয়ে
উঁকি যেই মারল,
ওমনি সেই পাখী,চোর-চোর,ডাকি’
কথার বুলি ছাড়ল।
চোরেরা কয়,গৃহস্থ নিশ্চয়,
সে ত দেখি আছে জেগে!
চলরে সবাই,তাড়াতাড়ি পালাই,
চোর গেলো সব ভেগে।
মান্তুরা সবে,চোর,চোর,রবে
পাখীর ডাকে ভাঙে ঘুম,
চোর এসে ছিল,শব্দে জানা গেল,
খোঁজা খুঁজির লাগে ধুম।
পাখীরে সাদরে,অনেক আদরে,
বলে ঘুমা,হয় নি কো ভোর,
কাকাতুয়া নাড়ে,ঘাড় বারে বারে,
বলে,চোর,চোর,চোর!
তাপসকিরণ রায়
জবলপুর, মধ্যপ্রদেশ