খেলাঘরখেলাঘর

এই যে ইচ্ছামতী এত সেজেগুজে আসে প্রত্যেকবার, তার জন্য ছবি আঁকাআঁকি করতে হয়ে, ফটো তুলতে হয়, ইন্টারনেট ঘেঁটে ছবি ও তথ্য যোগাড় করতে হয়। আরো কত কি যে করতে হয়! পুরনো চরকায় তেল দিয়ে সেটাকে চালু রাখতে হয়, 'ঘিলু ঝড় ' অর্থাৎ ব্রেইন স্টর্ম চালাতে হয়, সবার সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়...সে এক লম্বা লিস্টি! তা চাঁদের বুড়ি তো নিয়মিত চরকা চালিয়েই যাচ্ছে, কিন্তু তাও মাঝে মাঝে অন্যদের সাহায্যের দরকার লাগে বইকি। সে যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁরা বড়ই ভাল, শুধুমাত্র ভালবেসেই কাজকম্মে সাহায্য করেন। কিন্তু ইচ্ছামতী আর চাঁদের বুড়ি ভেবে দেখল, অনেকদিন তো হল, এঁরা সবাই পর্দা, থুড়ি, স্ক্রীনের আড়ালে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন, এবার এনাদের সাথে সবার একটু পরিচিতি হওয়া দরকার।

ইচ্ছামতীকে সাজিয়েগুছিয়ে তুলতে চাঁদের বুড়িকে যাঁরা সাহায্য করেন, তাঁরা কে কে? বলি শোন - আছেন এক নিধু সর্দার, আছেন এক দেড়েলবাবু, আছেন এক বিষ্টু মিস্তিরি। আছেন আরো অনেকে। এঁদের সাথে ধীরে ধীরে পরিচয় হবে সবার। তবে আজকে যাদের সাথে পরিচয় হবে, তারা এদের সবার থেকে বয়সে অনেক ছোট, কিন্তু ইচ্ছামতীর থেকে একটু বড়। এরা ইচ্ছামতীর নতুন বন্ধু, সায়নী আর দীপায়ন। ইচ্ছামতীর এই সংখ্যা সায়নী আর দীপায়ন অনেক ছবি এঁকে সাজিয়ে দিয়েছে।



সায়নী গুয়াহাটিতে থাকে। মহর্ষি বিদ্যা মন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ছবি যে ভাল আঁকে সে তো ইচ্ছামতীর পাতায় দেখতেই পাবে। ছবি আঁকা ছাড়াও, পড়াশোনার সময়টা বাদ দিলে, সায়নী গান শুনতে ভালবাসে। আর মাঝে মাঝেই ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে গল্প করে।



দীপায়ন কলকাতার নব নালন্দা হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। দীপায়ন শুধু ভাল ছবি আঁকে না, কবিতা আর গল্পও লেখে। ইচ্ছামতীকেও লেখা দেবে বলেছে দীপায়ন। গল্পের বই পড়তে ভালবাসে। বড় হয়ে চিত্রকর অথবা অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় দীপায়ন।


----------------------------

তুমিও কি হতে চাও ইচ্ছামতীর বন্ধু? তাহলে চট করে মেইল করে ফেল ইচ্ছামতীকে - এই ইমেইল ঠিকানাটি spambots থেকে রক্ষা করা হচ্ছে। এটি দেখতে হলে আপনার জাভা স্ক্রিপ্ট সক্রিয় থাকতে হবে।, এই ঠিকানায়। জানাও আমাদের, তুমি কিভাবে ইচ্ছামতীকে সাজিয়ে তুলতে সাহায্য করতে পার।