হেমন্তের শেষে এলো যে শীত
সাদা সাদা মেঘ ছেঁড়া,
উড়ে গেলো দূরে,এখন নীল আকাশ,
মাটি হলুদ রোদে ঘেরা।
যখন ভোরের মৃদু শিশির
নরম ঘাসের গালিচায়,
তখন সূর্য্য ঘোমটা সরিয়ে
শিশুদের ঘুম যে ভাঙায়।
ভোরের কুয়াশা,চোখের ঝাপসা,
যেন দিনের ঢাকা চাদর,
রাতের ঘুমের তন্দ্রা জড়ানো
যেন সোহাগের আদর।
ঠান্ডা এড়াতে সুখামেজ নিতে
রোদ্দুরে দিই পিঠ,
আমি ভলোবাসি গরম নরম
দিবসের এই শীত।
তাপসকিরণ রায়
জবলপুর, মধ্য প্রদেশ
হেমন্তের কথা-
কুয়াশার এই মায়ার চাদর
জড়িয়ে তোকে করব আদর
কেউ করে নি এমন তো।
তাই তো আমি হেমন্ত।।
দখিণ-ছোঁয়া আমার আলো
তোকেই ছুঁতে হাত বাড়ালো
ন্ন জুড়লেই নেমন্ত।
আমিই যে সেই হেমন্ত।।
মন হারালি আবার কিসে
সোনায় ভরা ধানের শিষে
খুঁজে দিলাম সে মন তো।
আমিই তোদের হেমন্ত।।
শীতের কথা-
আসছি শুনেই কাঁপছে যে তোর হরফ
এসেই যেন ঝরিয়ে দেব বরফ
আমার সাথে খেলবি নে কিতকিত ?
আমি তোদের শীত।।
এদিক-ওদিক-অন্যদিকে
হঠাৎ ছুটির ও পিকনিকে
গাইবি নে কি আমার সাথে গীত ?
আমিই তোদের শীত।।
পিঠেপুলি খাওয়াই ডেকে
চেরী বসাই ও ফ্রুটকেকে
আমার সাথে করবি নে কি মিত ?
তোদের আমি শীত।।
তন্ময় ধর
নতুন দিল্লী
সেই যে আমার
নানা রঙের দিনগুলি
মায়ের হাতের
তালের বড়া ক্ষীর পুলি.
সেই যে আমার
নানা রঙের দিনগুলি
জারুল ডালে
আপন ভোলা বুলবুলি.
সেই যে আমার
নানা রঙের দিনগুলি
ঈদ মুবারক
দোলের দিনে কোলাকুলি.
সেই যে আমার
নানা রঙের দিনগুলি
গা ছমছম
চিলে কোঠার ঘুলঘুলি.
সেই যে আমার
নানা রঙের দিনগুলি
কালির দোয়াত
স্লেট, পেন্সিল, রং, তুলি.
সেই যে আমার
নানা রঙের দিনগুলি
ভুলতে গিয়েও
কেমন করে তা ভুলি।
তন্ময় দাশ
ভদোদরা, গুজরাট
ব্যাট হাতে সেই ছেলেটা
সবার ভরসা, আশা সবার।
যতক্ষণ সে আছে মাঠে
বলটা পাঠায় এধার ওধার।
দেখতে ছোট। ব্যাটটা হাঁকায়
বোলার বেচারি বেসামাল
ফিল্ডাররাও হাঁপিয়ে ছোটে
ক্যাপ্টেনের তো হাঁড়ির হাল।
পঞ্চাশটা জল ভাত তার
হাল হামেশা মারছে চার
বলটাও ভয়ে কুঁকড়ে যেন
পালাবার পথ নেইকো আর।
এবার দেখি বলতো ভায়া
ব্যাট হাতে মাঠে আপনজন
বিশ্ব চেনে এক ডাকেতে
কে সেই ভারত রতন?
সমর চট্টোপাধ্যায়
গড়িয়া গার্ডেন্স, কলকাতা
ছবিঃউইকিপিডিয়া
জ্ঞানের আলোয় চিনতে শেখো জগতটাকে
আসুক বিষাদ অমানিশা যুক্তি বুদ্ধি পথের দিশা
অদৃষ্টবাদ ঘোরায় শুধু ঘূর্নিপাকে।
নীরোগ রেখ শরীর নিয়ম মেনে কঠোর
অসুখ যদি হঠাত আসে ডাক্তার ওষুধ আছে পাশে
মুশকিল আসান নয়কো তাবিজ রত্ন পাথর
জীবনখেলা সাঙ্গ করে গেল যে জন
আর কোনদিন ফিরবে নাকো, স্মৃতির ঘরেই তাকে রেখ
সূক্ষ্মশরীর, পুনর্জন্ম- গল্পকথন।
দূর আকাশে আলো হাতে চলছে কারা।
জ্যোতিষী নয় গণিত তত্ত্ব মেলে ধরবে আসল সত্য
দূরবীনেতেই ধরা দেবে সূর্যতারা।
ডঃ মাধব চট্টোপাধ্যায়
হায়দ্রাবাদ, অন্ধ্র প্রদেশ
ছবিঃ ইন্টারনেট
লালটুকটুকে ঠোঁটখানি তোর সবুজবরণ গা
তোকে দিলাম লঙ্কাপাকা এই যে টিয়া খা ;
গবগবাগব পুরিস মুখে তোর লাগেনা ঝাল ?
একটুখানি মুখে দিলেই আমার যে কী হাল !
বাঁকা ঠোঁটে তীক্ষ্ণ সুরে কী করে দিস শিস
লক্ষ্মী টিয়া শিস দেওয়াটা শিখিয়ে আমায় দিস ,
লোকের কথা শুনে শুনে নকল করিস ভাই
সেই বিদ্যে সবার আগে শিখতে আমি চাই ।
কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে দেব খোসা ছাড়াই খাবি
কথা দিলাম এখুনি এক পাকা কলাও পাবি ।
টি টি করে ডাক ছেড়ে ভাই শিস দিয়ে তুই ডাক
তোরই কাছে বনের টিয়া শিসটি শিখে যাক ।
জামাল ভড়
বারাসাত, উত্তর চব্বিশ পরগনা