আমাদের এই সংখ্যার মনের মানুষ আশাপূর্ণা দেবী (১৯০৯-১৯৯৫)। তুমি কি আশাপূর্ণা দেবীকে চেনো? পড়েছ তাঁর লেখা কোনও গল্প? সেই যে করালী চোর আর কৃতান্ত দারোগার গল্প, যেখানে কিনা বিখ্যাত চোর করালী রাত্তির বেলা চুরি করতে বেরোচ্ছে না, কারন তার পা শামুকের খোলায় কেটে গেছে; এদিকে খোদ থানার ভেতর থেকে বড়-দারোগার জিনিষপত্র চুরি হয়ে গেল!!
বা হিটুর দুঃখের গল্প, যেখানে বড়রা কিছুতেই তার মনের কথা বুঝতে পারে না, বড়রা দোষ করলেও বকুনি খেতে হয় ছোট্ট হিটুকেই...
কিম্বা গোবিন্দ আর ভুনিপিসির গল্প? সেই যে 'পুঁয়েখাওয়া হাড়গিলে পিলেপেটা' গোবিন্দ, যাকে কিনা দেখতে পেয়েই ভুনি পিসি দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন ! কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ভুনিপিসিই কিনা হয়ে গেলেন গোবিন্দর ঠাকুমা!!
কি? এখন কি মনে হচ্ছে আশাপূর্ণা দেবীর গল্পগুলি পড়তে হবে? এইরকম কয়েকশো মজার, হাসির, ভূতের, রহস্যের, রূপকথার, ছোটদের মনের কথার গল্প তিনি লিখেছেন ছোটদের জন্য। ছোটদের পাশাপাশি তিনি বড়দের জন্যও সমান ভাবে লিখে গেছেন। কিন্তু তিনি নিজেই বলেছিলেন যে তিনি ছোটদের জন্য লিখতেই বেশি ভালোবাসেন। আর সেই লেখাগুলি যখন সুন্দর মলাটে বাঁধানো বই হয়ে ছেপে বেরোয়, তখন তিনি আরো খুশি হন।
এই ফাঁকে আশাপূর্ণা দেবীর ছোটবেলা সম্পর্কে একটা ছোট্ট কথা জানিয়ে রাখি। আশাপূর্ণার জন্ম হয়েছিল উত্তর কলকাতার এক যৌথ পরিবারে। সেই পরিবারে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বা পড়াশোনার পাট ছিল না। ছোট্ট আশাপূর্ণা কিভাবে অক্ষর চিনেছিলেন জানো? তাঁর দাদাদের এবং ভাইদের পড়া শুনে শুনে। কিন্তু তাঁর মায়ের খুব বই পড়ার উতসাহ ছিল। তাঁর উতসাহেই আশাপূর্ণা এবং তাঁর বোনেরা বই পড়তে শুরু করেন। আর খুব অল্প বয়স থেকেই আশাপূর্ণা লিখতেও শুরু করেন । বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বহু পুরষ্কার এবং সম্মান পেয়েছেন। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হল জ্ঞ্যানপীঠ পুরষ্কার।
প্রায় সত্তর বছর ধরে ছোট এবং বড়দের জন্য নিয়মিত লিখে গেছেন আশাপূর্ণা দেবী। তাঁর গল্প-উপন্যাস পড়ে আনন্দ পেয়েছে পরের পর প্রজন্ম। এখন তুমি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ছোটদের জন্য গল্পগুলিকে পড়, আর বড় হলে পড়ে নিও তাঁর লেখা বড়দের গল্পগুলিও।
মহাশ্বেতা রায়
পাটুলি, কলকাতা
বা হিটুর দুঃখের গল্প, যেখানে বড়রা কিছুতেই তার মনের কথা বুঝতে পারে না, বড়রা দোষ করলেও বকুনি খেতে হয় ছোট্ট হিটুকেই...
কিম্বা গোবিন্দ আর ভুনিপিসির গল্প? সেই যে 'পুঁয়েখাওয়া হাড়গিলে পিলেপেটা' গোবিন্দ, যাকে কিনা দেখতে পেয়েই ভুনি পিসি দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন ! কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ভুনিপিসিই কিনা হয়ে গেলেন গোবিন্দর ঠাকুমা!!
কি? এখন কি মনে হচ্ছে আশাপূর্ণা দেবীর গল্পগুলি পড়তে হবে? এইরকম কয়েকশো মজার, হাসির, ভূতের, রহস্যের, রূপকথার, ছোটদের মনের কথার গল্প তিনি লিখেছেন ছোটদের জন্য। ছোটদের পাশাপাশি তিনি বড়দের জন্যও সমান ভাবে লিখে গেছেন। কিন্তু তিনি নিজেই বলেছিলেন যে তিনি ছোটদের জন্য লিখতেই বেশি ভালোবাসেন। আর সেই লেখাগুলি যখন সুন্দর মলাটে বাঁধানো বই হয়ে ছেপে বেরোয়, তখন তিনি আরো খুশি হন।
এই ফাঁকে আশাপূর্ণা দেবীর ছোটবেলা সম্পর্কে একটা ছোট্ট কথা জানিয়ে রাখি। আশাপূর্ণার জন্ম হয়েছিল উত্তর কলকাতার এক যৌথ পরিবারে। সেই পরিবারে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বা পড়াশোনার পাট ছিল না। ছোট্ট আশাপূর্ণা কিভাবে অক্ষর চিনেছিলেন জানো? তাঁর দাদাদের এবং ভাইদের পড়া শুনে শুনে। কিন্তু তাঁর মায়ের খুব বই পড়ার উতসাহ ছিল। তাঁর উতসাহেই আশাপূর্ণা এবং তাঁর বোনেরা বই পড়তে শুরু করেন। আর খুব অল্প বয়স থেকেই আশাপূর্ণা লিখতেও শুরু করেন । বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বহু পুরষ্কার এবং সম্মান পেয়েছেন। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হল জ্ঞ্যানপীঠ পুরষ্কার।
প্রায় সত্তর বছর ধরে ছোট এবং বড়দের জন্য নিয়মিত লিখে গেছেন আশাপূর্ণা দেবী। তাঁর গল্প-উপন্যাস পড়ে আনন্দ পেয়েছে পরের পর প্রজন্ম। এখন তুমি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ছোটদের জন্য গল্পগুলিকে পড়, আর বড় হলে পড়ে নিও তাঁর লেখা বড়দের গল্পগুলিও।
মহাশ্বেতা রায়
পাটুলি, কলকাতা