একদিন ইস্কুলে গিয়ে দেখে অর্ক
দুইদলে বেধে গেছে বড় জোর তর্ক;
তর্কের কেন্দ্রে ছিলো শীত গ্রীষ্ম
তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভয়ানক দৃশ্য।
গ্রীষ্মের বিরুদ্ধে ছিল এই যুক্তি
হাসফাঁস করা থেকে নেই কোনো মুক্তি;
খাদ্যেও সুখ নেই খেয়ে নেই স্বস্তি
খেয়ে পরে বসে শুয়ে শীতে সুখ অস্তি।
হাড় কাঁপা ঠান্ডায় ভোরে ওঠা শক্ত
বাইরে গেলেই যেন জমে যায় রক্ত;
হাত পায়ে টান ধরে খস খস গাত্র
টের পাবে হাড়ে হাড়ে জলে নামা মাত্র।
কাঁঠালের দেশে পাবে আম জাম বিল্ব
রসে ভরা ফলগুলি গরমেতেই মিললো;
সরবতে স্বাদ পাবে,সুখ দেবে লস্যি
বাসনা তৃপ্ত হবে হও যত দস্যি!
শীতকালে পাবে তুমি যত শাক সব্জি
পেট ভরে খেতে পার ডুবিয়ে ঐ কব্জি;
খেজুরের রসে পাবে নলেনের সন্দেশ
পার্বণী পিঠা পাবে খেতে পার কমবেশ।
সবদিক শুনে বুঝে হেঁকে বলে অর্ক
খুব হলো থামো দেখি থামাও বিতর্ক;
শীতকালে শীত ভালো গ্রীষ্মে ঘর্ম
সমতালে তাল রাখা প্রকৃতির ধর্ম।
জামাল ভড়
বারাসাত
উত্তর চব্বিশ পরগনা