এখন যে আইআইটি খড়গপুরকে আমরা দেখি প্রাক স্বাধীনতার যুগে সেখানে ছিল হিজলী জেল । ব্রিটিশ শাসক এই জেলখানায় প্রধানত: রাজনৈতিক বন্দীদের রাখত । সেখানে বাংলার দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী সন্তোষ মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত বীরত্বের সাথে শহীদ হয়েছিলেন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই জেলখানাটি ইউ এস এয়ারফোর্স এর ভেরি হেভি বম্বার কমান্ডের হেড কোয়ার্টার ছিল । আই-আই-টি ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে দক্ষিণদিকে যাত্রা করলে হিজলি ফরেস্ট শুরু হয় । ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট সেখানে সারেসারে ইউক্যালিপ্টাস আর সোনাঝুরি লাগিয়েছে ।
এই কৃত্রিম অরণ্যে বুনো গন্ধটা কিছুটা পানসে লাগে ।তবে হিজলি ফরেষ্টের সোনাঝুরি-ইউক্যালিপটাসের প্রাক-বাসন্তী দোলা দেখতে মন্দ লাগেনা । আর যদি হয় শীতের শেষ রোববারের সকাল তাহলে এই অরণ্যের হাত ধরে, কেশিয়াড়ি হয়ে ঘুরে আসা যায় ভসরাঘাট যেখানে সুবর্ণরেখা নদীর ধবধবে সাদা, মসৃণ ও রোদের আলোয় চিকচিকে বালির চরে হেঁটে নদীকে ছুঁয়ে দেখে আসা যেতেই পারে ।
নদী দেখে ফেরার পথে বেলদার রাস্তায় ২ কিলোমিটার গেলে পড়বে কুকাই গ্রাম । সেখান থেকে আরো ২ কিলোমিটার গেলে পড়বে গগনেশ্বর গ্রামে কুরুম্ভেরা দুর্গ ।
পুরাতাত্মিক মনুমেন্ট হিসেবে স্বীকৃত এই দুর্গটি সত্যি সত্যি এখনো স্বমহিমায় তার রাজকীয়তা বজায় রেখেছে ।
হিজলী জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গেলাম আমরা । তখন শীতের কিছুটা রেশ রয়েছে । গোপালী গ্রাম পড়ল । একদা জনমানব শূন্য এই গ্রাম দ্রুত শহরায়নের স্বীকার হয়েছে বোঝা যায় । আছে কম্পিউটার সেন্টার । এই জায়গাটি এয়ারফোর্সবেস সালুয়ার অন্তর্গত । ইএফআর হেডকোয়ার্টার এই সালুয়া । যাওয়ার সময় আমাদের বাঁদিকে পড়ল সালুয়া আর উল্টোদিকের রাস্তা ধরে গেলে পড়ে কলাইকুন্ডা বিমানবন্দর, যেখানে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানী বিমান হানা দিয়েছিল । কথিত আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যাওয়ার পথে, বিদ্ধংসিকারী এটম বোমাবাহী যুদ্ধ বিমান এখানে একটি রাতের জন্য অবতরণ করেছিল | রানওয়ে এখনো আছে ।এখন প্লেন নামেনা এখানে কিন্তু এটি পূর্ব ভারতের সমস্ত রেডার সিগন্যাল মনিটারিং সেন্টার । সালুয়ার জনসংখ্যার শতকরা ৯৫ভাগ মঙ্গোলয়েড অর্থাত নেপালী, ভুটিয়া ইত্যাদি অরিজিনের ।
ল্যাটেরাইটের সিঁদুর মাটি, ধূধূ ধানজমির সবুজ আর রোদ ঝলমলে শেষ শীতের রেশ নিয়ে কেশিয়াড়ির পথে পা বাড়ালাম । প্রথমে পড়ল মহিষামুরা গ্রাম তারপর খাজরা । পুরোণো উচ্চবিদ্যালয়ে তখন স্পোর্টস হচ্ছিল । "পল্লীপ্রাণ ক্লাব" ছিল সেখানে । সাড়ম্বরে বিবেক-মেলা হচ্ছিল খাজরার মাঠে । পথে অনেক ছোটবড় স্কুল দেখলাম । আদিবাসী অবৈতনিক বিদ্যালয় থেকে শিশু বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক গার্লস স্কুল । আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মেদিনীপুর জেলার স্বাক্ষরতা কেন এত বেশী তা বুঝতে পারলাম । অনেক গুলো দীঘি পড়ল পথে । নারকোল আর খেজুরগাছের ছায়া সুনিবিড় সবুজ জলে নামার ইচ্ছে সংবরণ করতে হল । চওড়া পিচের রাস্তার পর শুরু হল সরু রাস্তা । এত সরু যে একটি গাড়ি চললে আর উল্টোদিক দিয়ে গাড়ি এলে নেমে যেতে হবে মাটিতে । আবার জঙ্গল । এবার বাঁশঝাড়ের পর বাঁশঝাড় । মাঘের শেষে সজনে ফুলের গন্ধ তখন বাতাসে ।
আর মাইলের পর মাইল ধান জমি । কোথাও কাটা হয়েছে ধান ।
কোথাও বা ইরিগেশন ক্যানালের জলে ভেজানো ধানক্ষেতে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে দলবেঁধে ধানচারা লাগাচ্ছে চাষীবৌ'রা ।
এল দুধেবুধে গ্রাম আর দুধেবুধে প্রাথমিক বিদ্যালয় । ইলেকট্রিক পৌঁছে গেছে এখানে । ক্রিশ্চান মিশন রয়েছে । এল কেশিয়াড়ি বাজার । ঘিঞ্জি রাস্তায় বসেছে রবিবারের হাট । । পেরোলাম নছিপুর গ্রাম । কিছুপরেই পৌঁছলাম ভসরাঘাট, সুবর্ণরেখা নদীর চরে । যাত্রীবোঝাই বাস নামাচ্ছে যাত্রীদের । কোনো স্থায়ী সেতু হয়নি এখনো । অর্ধসমাপ্ত, অস্থায়ী ব্রিজের কাছাকাছি গাড়ি রেখে হেঁটে নদীকে দেখতে গেলাম । কিছু কষ্ট করে সেই বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে মানুষ জন পারাপার হয় এখানে প্রতিদিন । মালবওয়ার জন্য ঢুলি পাওয়া যায় ।সুবর্ণরেখা শীতে অনেকটাই রুক্ষ ।
কিন্তু বর্ষাকালে এখানে আসাটা খুব সুবিধে হবেনা । তাই শীতের শেষে আসা । নদীর সাদা ও মসৃণ বালির চরে রোদ পড়েছে আর চকচক করছে বালিকণা । সুবর্ণরেখা বয়ে চলেছে আপনমনে । জল বড় কম নদীতে | মাঝিমল্লারা নৌকা নিয়ে আসাযাওয়া করছে , মাছ ধরতে যাচ্ছে । কেউ পারাপার করছে । ওপারে নয়াগ্রাম |হাওয়ায় তখন বসন্ত এসেছে । একটাদুটো কোকিলও ডাকছে গ্রামের মাটির কুঁড়ের লাগোয়া সজনেগাছে ।
নদীকে দেখা হল, ছোঁয়া হল আর তাকে ভালো থাকতে বলে কেশিয়াড়ির পথেই ফিরতে এলাম । কিছুটা ফেরত এসে ডান দিকে বেলদার পথে বাঁক নিলাম । কেশিয়াড়ি গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মাইল চারেক গেলেই পড়বে কুরুম্ভেরা দুর্গ । সূর্য তখন মাঝ আকাশে । পেরোলাম দাসিসরিষা, কদমকুঁড়ি ও কুকাইগ্রাম । কুকাইয়ের পথে ২ কিলোমিটার মোরামের রাস্তা ধরে সোজা পৌঁছলাম গগনেশ্বর । . বাইরে বিশাল উঁচু প্রাচীর পরিবেষ্টিত দুর্গটি দশ ফুট উঁচু এবং বিশাল মাঠের মধ্যিখানে প্রায় ৩০ বিঘে স্থান জুড়ে এই দুর্গ ।
পাথর দিয়ে কেটে কেটে তৈরী । যেন চক মিলোনো রাজপ্রাসাদ ! একদিকে উঁচুতে নাটমন্দিরে তিনটি মন্দিরের গড়নে স্থাপত্য রয়েছে ।
এর মধ্যে একটি শিব মন্দির আছে । ওড়িয়া লিপি থেকে জানা যায় ১৪৩৮-১৪৬৯ সালে তৈরী হয়েছিল এই দুর্গটি । ছমছমে দুর্গপুরীর নাম "কুরুম্ভেরা"|
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সরকারের ওয়েব সাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ও পোষ্ট করা ছবি দেখেই আকৃষ্ট হয়ে আসা এখানে । সত্যিই অভিনব এই দুর্গের স্থাপত্য । ১৯৫৮ সালে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই কুরুম্ভেরা দুর্গকে পুরাতাত্মিক মনুমেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ।
একটি প্রাচীন মসজিদও আছে এখানে যেটি মহম্মদ তাহির নাকি বানিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেবের আমলে ১৬৯১ সালে ( পাথরে খোদাই করা লেখা থেকে জানা যায় ) | পশ্চিম মেদিনীপুরে যে এত অভিনব একটি স্থাপত্য আছে তা হয়ত অনেকেরই জানা নেই । নেই কোনো সময়ের দলিল, কোনো সরকারি নথি কিম্বা কোনো কিম্বদন্তীর কড়চা! হয়ত ভবিষ্যতের পাতা থেকে মুছেও যাবে একদিন কুরুম্ভেরার দুর্গ । কিন্তু আমাদের ক্যামেরায় আর উইকিম্যাপিয়াতে থেকে যাবে এর ঐতিহ্য !
খড়গপুরের ক্যাম্পাস থেকে রেলওয়ে কলোনি ধরে খড়গপুর স্টেশনের দিকে গিয়ে চৌরঙ্গীর মোড় পেরোলে পড়বে ন্যাশানাল হাইওয়ে ৬ । তাকে পেরিয়ে স্টেট হাইওয়ে ধরে বিষ্ণুপুর-বাঁকুড়ার পথ ধরে ঘুরে আসা যেতেই পারে মন্দিরময় পাথরা গ্রাম । বসন্তের বাতাসে সজনে ফুলের গন্ধ নিয়ে আমরা পেরোলাম কংসাবতী নদীর ব্রিজ । শীতে শীর্ণ কাঁসাই নদীর চোখের জল শুকিয়ে গেছে । সাদা বালির চরে রোদের আলো পড়ে তখন চিকচিক করছিল । কিন্তু নদীতে জলের অপ্রতুলতা মোটেই কাম্য ছিল না । মেদিনীপুরের পথ , পাথরার রাস্তা খুব ভাল । ধান খেতের সবুজ চলল আমাদের হাত ধরে । পেরোলাম মাইলের পর মাইল আলুর খেত। গাঁয়ের বীথিপথ ধরে এগুনো হল । শীতের শুকনো ঝরাপাতাদের পেছনে ফেলে রেখে চললাম কোকিলের ডাক শুনতে শুনতে । ইউক্যালিপটাস, সোনাঝুরি, কদম , সেগুন আর বাঁশ ঝাড়ের সারি । সেদিন ছিল হজরত মহম্মদের জন্মদিন তাই স্থানীয় মসজিদে খুব রমরম করে ্সেই উতসব উদযাপন হচ্ছিল ।এতক্ষণ পিচের রাস্তা ছিল । এবার কিছুটা কাঁচা রাস্তা । শুরু হয়ে গেল পরিত্যক্ত ভাঙা মন্দির। ইরিগেশন ক্যানালের ছোট্ট সেতু পেরিয়ে ইঁটভাটা পড়ল তার পর শুরু হল পিচের রাস্তা । ডান দিকে কাঁসাই নদী দেখা গেল আর বাঁদিকে এল সেই মন্দিরময় পাথরা গ্রাম ।
আমরা সেই মন্দিরতলায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলে চলেছি একে একে । তুলে শেষ করা যায় না এত মন্দির ! ছোট মন্দির, বড় মন্দির, মন্দিরের ধ্বংস স্তূপ আর মন্দিরের সংলগ্ন গ্রাম, খেত খামার, ধানের গোলা, পুকুর কি নেই এখানে । যেন ভাবনার খোলাখাতা নিয়ে মন্দিরের সিঁড়িতে বসে পড়লে উঠে আসবে অনেক ইতিহাসের কথা । মোট চৌত্রিশটি মন্দির আছে এখানে ।
নানান ধরণের, নানান গড়নের । এক একটির ভাস্কর্য এক এক রকম ! তবে সবকটি মন্দিরই বাংলার ট্র্যাডিশানাল চালাঘরের আদতে বানানো হয়েছিল । মন্দিরময় পাথরা গ্রামটির মানুষজন যেন যুগযুগ ধরে মন্দিরগুলিকে বুকে করে আগলে আসছে । মেদিনীপুর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে এই পাথরা গ্রাম । মন্দিরের গায়ের লেখা থেকে জানা গেল যে সেগুলি প্রায় ৫০০ বছরের পুরোণো । ১৭৩২ সালে বাংলার নবাব আলিবর্দি খাঁ, বিদ্যানন্দ ঘোষালকে রত্নাচক পরগণার রাজস্ব আদায়ের ভার দিয়েছিলেন ; বিদ্যানন্দ একের পর এক নিজের শখে ঐ জায়গাটিতে ৩৪ টি সুন্দর মন্দির বানিয়েছিলেন । নবাব এতে খুশি হন নি । তাকে বন্দীও করেন । পরবর্তীকালে পাথরা আর্কিওলজিকাল প্রিজারভেশান কমিটি, খড়গপুর আইআইটির সাথে যৌথভাবে মন্দির গুলির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ত্ব নেয় ।
রয়েছে নাট মন্দির, কাছারিবাড়ি রাসমঞ্চ, নহবতখানা। বেশির ভাগই পরিত্যক্ত শিব মন্দির । শিবলিঙ্গও নেই কোনোটির মধ্যে । মন্দিরের গায়ের স্থাপত্য দেখবার মত । একটির গায়ে দশ অবতার , একটির গায়ে হনুমান। কোনোটির গায়ে নর্তক নর্তকীর অবয়ব, কোনটিতে আবার হলধারী বলরামের মূর্ত্তি । পোড়ামাটির সব স্থাপত্য । মন্দির চত্বরে পড়ে রয়েছে মেটে আলুর ফল । ফুলে ফুলে সাদা সজনে ফুলের ডাল গা এলিয়ে পড়ে রয়েছে মন্দিরের গায়ে ।
পাথরা গ্রাম দেখে আমরা এবার চললাম কর্ণগড়ের দিকে । মেদিনীপুর থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম । এখানকার প্রাচীন গড় বা দুর্গটির কিছু ধ্বংসাবশেষ এখনো ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করবে । তবে পুরোণো গড়ের চত্বরে তৈরী হয়েছে নতুন মন্দির । দুর্গের দক্ষিণে আনন্দলিঙ্গ দন্ডেশ্বর মহাদেব এখনো আছেন আর তার পাশেই মহামায়া মন্দির ।
কথিত আছে রঘুবাবা নামক এক ভক্ত এখানে ৩০-৩৫ বছর ছিলেন এবং তার মাহাত্ম্যেই কর্ণগড় এখনো স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে । মহাভারতের রাজা কর্ণ নাকি এই দুর্গ বানিয়েছিলেন । "ভবিষ্য ব্রহ্মখন্ড" নামক সংস্কৃত পুঁথিতে কর্ণগড়ের অস্তিত্বের উল্লেখ আছে এবং মন্দিরগুলির আদল অনেকাংশেই ওড়িষ্যার মন্দিরের মত । কেউ বলেন কর্ণগড় তৈরী হয়েছিল ৫০০ বছর আগে এবং রাজা মহাবীর সিংহ এই দুর্গের প্রতিষ্ঠাতা । ব্রিটিশ আমলে "চুয়াড় বিদ্রোহে"র কারণে এটি ধ্বংস হয়ে যায় ।১৭৬৭ সালে স্থানীয় আদিবাসী " চুয়াড়" দের এই বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল ঘাটশীলায় । এবং ১৭৯৮ সালে রাণি শিরোমণির নেতৃত্বে এই চুয়ার বিদ্রোহ মারাত্মক আকার ধারণ করে । এই আন্দোলনকে থামাতে ব্রিটিশ শাসকদেরও অত্যন্ত বেগ পেতে হয়েছিল । রাণীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং তাঁকে "মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ" সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল
। ঐতিহাসিক এই আন্দোলন ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু কর্ণগড় সাক্ষী হয়ে থাকে এই "চুয়াড় বিদ্রোহের" মূল ঘাঁটি রূপে ।
এইভাবে সময়ের খেয়া বয়ে যায় । বয়ে যায় কত ঝড় । একজন সৃষ্টি করে আর কেউ তা ধ্বংস করে । পড়ে থাকে ধ্বংসের স্মৃতিচিহ্ন । মানুষ তার অদম্য ভ্রমণ-তৃষ্ণা নিয়ে ছুটে বেড়ায় আর নিয়ে আসে সেই স্মৃতিচিহ্নের কিছু অংশ । অজানা সব তথ্য উঠে আসে সেই পথের পাঁচালি থেকে । উত্সাহীর রঙ তুলির টানে সজীব হয়ে ওঠে পুরোণো সেই তৈলচিত্র , কিছু অদেখা মুহূর্ত্ত, কিছু অচেনা ইতিহাস । ভৌগলিক সীমা পেরিয়ে ইতিহাসের পাতায় সংযোজন হয় সেই সব না বলা কথারা ।
লেখা ও ছবিঃ
ইন্দিরা মুখার্জী,
কলকাতা