আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন একটা গিরিখাত - ৪৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, ২৯ কিলোমিটার চওড়া, আর ১.৮৩ কিলোমিটার গভীর। কলোরাডো নদী আর তার শাখা নদীরা মিলে পাথর ক্ষয় করে করে এই গিরিখাতের সৃষ্টি করে।
ছোট বড় বিভিন্ন নদীদের ক্ষয় করবার ক্ষমতা বিভিন্ন বলে গোটা গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন জুড়ে নানারকমের শিলা স্তর দেখতে পাওয়া যায়, যেগুলি প্রায় ১৭ কোটি বছর আগে থেকে তৈরি হয়ে চলেছে।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ন্যাশ্নাল পার্ক আমেরিকার পর্যটকদের এক প্রধাণ আকর্ষন। প্রতি বছর প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। প্রাকৃতিক দুর্গমতাকে উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়ান পার্কের ভেতরে। অনেক সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে, অনেক সময়ে অনেকে হারিয়েও যান। তখন পার্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
বিশ্বের ভূবিজ্ঞানী এবং ভূতত্ববিদ্দের কাছে নিরন্তর এক রহস্যের মত হল এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। এখানে নদী এবং বায়ুর ক্ষয়কার্যের যতধরনের নমুনা এক সাথে দেখতে পাওয়া যায়, তা বোধ হয় পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না।
এতটা বিস্তার বলেই, এই পুরো জায়গাটা জুড়ে আবহাওয়ার নানারকমের পরিবর্তন দেখা যায়। উঁচু জায়গাগুলো যখন শীতকালে বরফে ঢেকে যায়, নিচু জায়গাগুলোতে সেই সময়ে বৃষ্টি হয়। শীতকালে প্রচন্ড ঠাণ্ডা পড়ে, আর গ্রীষ্মকালে ভয়ানক গরম।
ইওরোপীয়দের আগমণের আগে, আমেরিকার আদিম অধিবাসীরা এই অঞ্চলে বসবাস করত। তাদের মধ্যে পুয়েব্লো জাতির মানুষেরা এই জায়গাটিকে পবিত্র মনে করত। স্পেনের অভিযাত্রী গার্সিয়া লোপেজ দে কার্দেনাস ছিলেন প্রথম ইয়োরোপীয় যিনি ১৫৪০ সালে এইখানে আসেন।
বুঝতেই পারছ, ৪৪৬ কিলোমিটার একটা জায়গাকে তো আর একবারে ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। এখানে প্রকাশ করা ছবিগুলিতে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের মাত্র কিছু চেহারাই তুমি দেখতে পেলে। তাই আরো কতগুলি ছবি রইল তোমার জন্য।
তথ্য সংকলনঃ কাকলি পাল
ছবিঃ বোধায়ন চক্রবর্তী
এঙ্গেলউড, ডেনভার, কলোরাডো
অনুলিখনঃ মহাশ্বেতা রায়