তোমার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে চোখ ফিরিয়ে একবার জানলা দিয়ে বাইরে দেখো ।কি দেখছ? দেখবে বাইরে নীল আকাশ, সোনালি রোদ, সাদা মেঘ, মাঝে মাঝে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি; মাঠ , ময়দান, গাছপালা সব সবুজে সবুজ ; তোমার ব্যালকনির টবের পাতাবাহার গাছটা পর্যন্ত ঝকঝক করছে। ছুটির দিনে যদি বেড়াতে যাও শহরের বাইরে, দেখতে পাবে খেতে ফসল বেড়ে উঠছে। আর কিছুদিন পরেই চাষীভাইদের ঘরে উঠবে সেই সবুজ - সোনালি ফসল। এই হল শরত্কাল। ,উত্সবের সময়। দুর্গাপুজো, ঈদ, কালীপুজো, দেওয়ালি, দসেরা, নবরাত্রি - আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে নানারকমের উত্সবের পালা ।আর এই আনন্দের দিনে যদি পড়তে পাওয়া যায় একটা আনকোরা নতুন ওয়েব ম্যাগাজিন, তাহলে ভাল হয় না?- সেইজন্যই এল ইচ্ছামতী ।ছোটদের জন্য বাংলা ওয়েব ম্যাগাজিন। অবশ্য শুধু ছোটরা নয়, যারা দেখতে বড়, কিন্তু মনে মনে ছোট, তাদের জন্যেও এই ওয়েব ম্যাগাজিন।
ইচ্ছামতীর এই প্রথম সংখ্যা আয়তনে ছোট। একে কিন্তু বড় করে তুলতে হবে। ইচ্ছামতী খালি পড়লে চলবেনা। তোমার লেখা গল্প, আঁকা ছবি দিয়ে ভরিয়ে তুলতে হবে ইচ্ছামতীর পাতাগুলো। তবেই না তোমার সাথে সাথে তোমার মনের মত করে বেড়ে উঠবে ইচ্ছামতী। কি করে ইচ্ছামতীকে সাজিয়ে তুলবে তা জানতে হলে চোখ রাখো লেখালিখি বিভাগে ।
এই সংখ্যায় আছে একটা খেয়াল -খুশীর কবিতা; আছে একটা ছোট্ট মেয়ের উপস্থিত বুদ্ধির গল্প ; আছে হারিয়ে যাওয়া দিনের গল্প। আছে আমাদের প্রিয় এক কবির ছোটবেলার কথা ; যিনি আমাদের মনের সব ভাবনা আগে থেকেই বুঝে যান, আছে সেই প্রিয় লেখিকা লীলা মজুমদার এর কথাও । টিভিতে নিশ্চয় দেখ, বা বড়রা আলোচনা করেন - কোথাও বন্যা হচ্ছে, কোথাও বা ফাটছে ভয়ানক বোমা, মানুষ আহত হচ্ছে । ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কত কষ্ট হচ্ছে। এইরকমই অন্য রকম জীবন যার, সেই ছোট্ট ছেলে তাহানের খোঁজ পাবে এখানে; কিন্তু এইসব দুঃখ কষ্ট কে তো পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতেই হবে। তাই তো যিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন সব দুঃখের মাঝখানে হাসতে, আছে সেই চার্লি চ্যাপলিনের কথাও;
তোমাদের কেমন লাগল ইচ্ছামতী জানিও কিন্তু। আমার ঝাঁপি খুলে বসে থাকব তোমাদের চিঠিপত্রের আশায়। 'চিঠি পাঠাও' বিভাগে পাবে আমার ই-মেল ঠিকানা।
এই ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে Unicode font ব্যবহার করে। এই ওয়েবসাইট সবথেকে ভাল দেখা যাবে Firefox Browser এ। Firefox Browser কি করে ডাউনলোড করবে, তার বিবরণ ডানদিকের কলামে দেওয়া আছে।Internet Explorer 6 & 7 browser দুটি একটি অক্ষর ঠিক করে দেখাতে পারছে না। তাই আমরা "উত্সব", "হঠাত্" এই সব শব্দে 'খন্ড ত' এর বদলে 'ত -এ হসন্ত' ব্যবহার করেছি। না হলে দেখতে খারাপ লাগছে। যাঁরা সব খুব গম্ভীর চশমাআঁটা পড়ুয়া, ভুল বানান দেখলেই রেগে যান, তাঁরা নিশ্চয় আমাদের ওপর এই কারণে রেগে যাবেন না।
ভাল থেকো সবাই।
চাঁদের বুড়ি
ভাবছ চাঁদের বুড়ি কে? ইচ্ছামতী তো ছোট, তাই তার দেখা শোনা করে চাঁদের বুড়ি । ইচ্ছামতীর সম্বন্ধে তোমার সব মতামত, চিঠি, লেখা,ছবি পাঠিয়ে দাও চাঁদের বুড়ির কাছে।