খেলাঘরখেলাঘর

ন্যাশ্‌নাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল কিছুদিন আগে একটা প্রতিযোগিতা করেছিল -পৃথিবীর সবথেকে কদাকার প্রাণীর কে?

এই প্রতিযোগিতার ফল বেরিয়েছে। গভীর সমুদ্রের বাসিন্দা ব্লবফিশ এর কপালে জুটেছে এই খেতাব!

কিন্তু এই খেতাবের প্রয়োজন কেন? আর এই প্রতিযোগিতারই বা প্রয়োজন কেন? সে নিয়ে আলোচনায় পরে আসছি, আগে একটু ব্লবফিশের বর্ণনা দিই।

অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে সমুদ্রের ২,০০০-৪,০০০ ফিট নিচে থাকে ব্লবফিশ। মাছ ধরার ট্রলারের জালে হামেশাই ধরা পরে ব্লবফিশেরা। ব্লবফিশ প্রায় ১২ ইঞ্চি মত লম্বা হতে পারে। কিন্তু এর গায়ে কোন পেশি নেই, তাই একেবারে এক থলথলে চেহারা। কিন্তু এই জেলির মত মাংস তাদের সাহায় করে সমুদ্রের জলের মধ্যে ওঠা-নাম করে ভেসে বেড়াতে আর শিকারে জন্য ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে।

এবার আসি কেন এই প্রতিযোগিতা তার কথায়। ইংল্যান্ডের Ugly Animal Preservation Society বা কদাকার প্রানী সংরক্ষণ সংগঠনের উদ্যোগে হয় এই প্রতিযোগিতা। উদ্দেশ্য ছিল, সেই সব বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ান, যারা হয়ত প্যান্ডাদের মত আদুরে বা বাঘেদের মত রাজকীয় নয়; যাদের কদাকার চেহারার জন্য মানুষ তাদের খুব একটা পাত্তা দেয় না।

তাঁরা ১১ জন জনপ্রিয় তারকা এবং কমেডিয়ানদের দায়িত্ব দেন একটা করে প্রাণীকে নিয়ে শর্ট ফিল্ম বানাতে, যেখানে সেই প্রানীকে সব থেকে কদাকার দেখতে বলে জোর দেওয়া হবে। সেই ভিডিওগুলি দেখেন হাজার হাজার মানুষ।

বৃটিশ সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে ৭৯৫ ভোট পেয়ে প্রথম হয় ব্লবফিশ! ব্লবফিশ এখন হল Ugly Animal Preservation Society- এর ম্যাস্কট। এই সংগঠন মনে করছে, এই ভাবে পৃথিবীর কদাকার বিপন্ন প্রাণিদের প্রতিও মানুষের নজর এবার বাড়বে।


তথ্য ও ছবিঃ ন্যাশ্‌নাল জিওগ্রাফিক

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।