সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
ভদুর পাউট
(১)

ভদু পড়ে গিয়েছে! শুনে সারা বাড়িতে আলোড়ন পড়ে গেল। স্কুলের ঘণ্টা পড়লে এরকম হুটোপাটি দেখা দেয়।

ঠাম্মি ধড়মড় করে এসে ভদুর চিবুক তুলে জিজ্ঞাসা করল, 'পড়ে গেছিস?' ঠাম্মি স্নেহশীলা। আদর, প্রশ্রয়, উৎসাহ সবকিছুই চিবুক নাড়িয়ে। রান্নাঘর থেকে ছুটে এল, মা-কাকিমা। তারা কনুই, হাঁটু ভাল করে পরীক্ষা করে দেখল। কোনও দাগ নেই। মেয়েকে আদর-যত্ন করার সুযোগ হারিয়ে বিষণ্ণ গলায় জিজ্ঞাসা করল, 'পড়ে গেছিস?' বাবা-কাকা বাড়িতেই ছিল। দু'জনে মিলে ভদুর কপালে নেমে আসা চুল সরিয়ে দেখল। মাথাটা ঘাঁটল। ফাটেনি, আঁচড় পর্যন্ত পড়েনি। নিজেদের ছোটবেলার কথা মনে পড়েছিল ওদের। দুই ভাই জড়ামড়ি করে পড়ে কতবার যে মাথায় আলু গজিয়েছে। মেয়ের মাথায় কিছু না পেয়ে পুরনো অভ্যাসে নিজেদের মাথায় একবার হাত বুলিয়ে নিল বাবা-কাকা।

আসল কথাটা জিজ্ঞাসা করল দাদাই, 'বোনু, কী করে পড়লি?' এতক্ষণ বড় বড় লোকগুলোর কাণ্ডকারখানা দেখে ভদু চুপ করে ছিল। দাদাই জিজ্ঞাসা করতে জানাল, ওদের স্কুলে সামনেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তারই মহড়া চলছিল। ভদু বলল, 'তা তা থই থই গানের সঙ্গে নাচ করছিলুম। তা-তা হতেই আমি পা তুলেছি, অমনি...'। ভদু চুপ করে যায়। আবার শোরগোল। 'কেউ ঠেলে দিল?' 'গান বন্ধ হয়ে গেল?' 'মাথা ঘুরে গেল নাকি'? মুচকি হেসে আবার বলে ভদু, 'অমনি ধপাস করে পড়ে গেলুম।' আবার হইচই শুরু। কেউ বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল, 'পড়ে গেলি!' কারও কারণ জানার ইচ্ছে, 'কেন পড়ে গেলি?' কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল, 'মাথা ঘুরছিল? 'টিফিন খাসনি বুঝি?'

ভদু বড়দের মুখের দিকে একবার তাকায়। তারপর মিটমিট করে হেসে বলে, 'মোটা হয়ে গেছি তো, তাই।' ভদু মোটা হয়ে গেছে? কী সর্বনাশ! এইটুকু রোগাপাতলা মেয়ে। ভাল করে খায় না। সে কিনা মোটা হয়ে গেছে? নিশ্চয় কোনও হিংসুটে বন্ধু ওর মাথায় এসব ঢুকিয়েছে। মা জিজ্ঞাসা করে, 'কে বলেছে তুই মোটা হয়ে গেছিস? ওই পাণ্ডাদের গোলু ছেলেটা বলেছে, নয়? নিজে মোটা বলে সবাইকে মোটা দেখে। ওর আর কী দোষ! নিশ্চয় ওর মা বাড়িতে এসব নিয়ে আলোচনা করে! ছি ছি, একটা বাচ্চা মেয়েকে মোটা বলতে লজ্জা করে না গো?'

কাকিমা 'লজ্জা তো করা উচিত' বলতে বলতে ভদুর পেটটা দু'আঙুলে টিপে ধরে। ভদু খিলখিল করে হেসে উঠে বলে, 'কাকিমা, কাতুকুতু লাগছে।' কাকিমা ওর কথা কানেই তোলে না। ভদুর পেট পরীক্ষা শেষে বলে, 'কোনও এক্সট্রা চর্বি নেই। যত্তসব বাজে কথা।' এসব দেখে, বাবা-কাকাই বা বাদ যায় কেন! বাবা বুড়ো আঙুল আর মধ্যমা দিয়ে মেয়ের বাহুতে বেড় দেয়। তারপর মাথা নাড়ে। আর কাকা দু'হাতে গলা পেঁচিয়ে ধরে। সেটা দেখেই খেপে যায় ঠাম্মি, 'এই গবেট, ভাইঝির গলা টিপছিস? যা সুলেমানের কাঠের দোকান থেকে মেয়েকে ওজন করিয়ে আন।' মায়ের ধমক খেয়ে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যায় দুই ভাই। মাকে দু'ভাই এখনও ভয় পায়। ভদুর দাদাই শুধু একপাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে মজা দেখে।

নন্দীবাড়ির বৈশিষ্টই এটা। সবসময় আবেগে, উৎকণ্ঠায় মেতে থাকা। দুধে পিঁপড়ে ভাসলেও যে উদ্বেগ, ভদুর দাদাই সাইকেল থেকে পড়ে গেলেও সমান উৎকণ্ঠা। কথায় কথায় হইহই করে বলে পাড়ার লোক আড়ালে নন্দীবাড়িকে 'হইচই হাউস' বলে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ভদুকে নিয়ে ফেরে বাবা-কাকা। মাকে রিপোর্ট দেয়, সাড়ে একতিরিশ কেজি। ঠাম্মি বলে, 'ডাক্তার ঠাকুরপোকে ফোন করে জান, ন'বছরের মেয়ের স্বাভাবিক ওজন কত হয়।' ডাক্তার ঠাকুরপো মানে ভদুর ঠাকুরদার বন্ধু। ওদের পারিবারিক ডাক্তার। বাবা ফোন আনতে পা বাড়িয়েছিল। ঠিক সেইসময়েই ডোরবেল বাজল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে ঢুকল ভদুর দিভাই।

দিভাইকে দেখে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হতে যাচ্ছিল। ঠাম্মি মানে দিভাইয়ের দিদু সবে বলেছে, 'জানিস, ভদু পড়ে গেছে?...' ঠাম্মি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল। দিভাই থামিয়ে দিয়ে বলে, 'পড়বে না? মোটা হচ্ছে তো?' দিদু অবাক, 'তুই কী করে জানলি? ভদুও তাই বলছিল।' খিঁচিয়ে ওঠে দিভাই, 'জানব না? সারাক্ষণ তো মোবাইলে সেলফি উঠছে। আর উনি থেবড়ে বসে পাউট করে চলেছেন। খেলাধুলো নেই। আর ক'দিন পরে মেয়েকে ঠেলাগাড়ি করে ইস্কুলে দিয়ে আসতে হবে, বলে দিলুম।'

পাউট শব্দে ঘাবড়ে যায় দিদু। খারাপ কিছু নাকি! এইটুকু মেয়ে ওসব শিখল কী করে? আস্তে করে দিভাইকে জিজ্ঞাসা করে, 'হ্যাঁ রে মাম্পা, পাউটটা কী?' দিভাই দিদুর মুখটা আঙুল দিয়ে একদিকে টেনে বলে, 'সেলফি তোলার সময়ে এইরকম মুখ বাঁকানো হল পাউট।' দিদুর বাঁকানো মুখ দেখে জমায়েতে হাসির হররা ওঠে। একটু যেন লজ্জাই পেয়ে যায় দিদু। তারপর সামলে নিয়ে বলে, 'ভদুকে তো সুন্দর দেখতে! ও কেন মুখটা এমন প্যাঁচার মতো বাঁকায়?' দিভাই দিদুকে চুপ করিয়ে দিয়ে চিৎকার করে, 'অ্যাবাটা কোথায় গেল? অ্যাবা, এই অ্যাবা! ওই শয়তানটাই যত নষ্টের গোড়া। ওর থেকে স্মার্টফোনটা কেড়ে নিতে হবে।'

অ্যাবা মানে অবদান। দিভাইয়ের ভাই। মানে ভদুর দাদাই। দিভাই আর দাদাই ভদুর পিসির ছেলেমেয়ে। পিসির কাছাকাছি বাড়ি। দাদাই ভদুদের বাড়িতেই থাকে। আর দিভাই কলকাতায় পড়াশোনা করে। ছুটিছাটায় আসে। দিভাইয়ের চিৎকার শুনে ভদুর মা বলল, 'অবু তো তোর গলা শুনেই সাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেল।' নিজের মনেই বলে দিভাই, 'পালিয়ে যাবে কোথায়? সন্ধ্যে হলে ঘরে ঢুকতে হবে না?' ভদুও পালানোর চেষ্টা করছিল। ও বুঝতে পেরেছিল দিভাই রেগে আছে। ভুরু দু'টো কোঁচকানো। কিন্তু দিভাই বুঝতে পেরে গিয়েছিল। একবার চোখ পাকাতেই ভদু নটনড়নচড়ন।...

(২)

সন্ধেবেলার বিচারসভায় দোষী সাব্যস্ত হয় ভদু আর অবদান। প্রধান বিচারপতি দিভাই, সহকারী বিচারপতি দিদু। বাড়ির বাকি বড়রা জুরিবোর্ডের সদস্য। দিভাই রায় ঘোষণা করে, অবুর স্মার্টফোন কেড়ে নিয়ে তাকে দেওয়া হবে পুরনো যুগের ফোন। তাতে নেট সংযোগ করা যাবে না। অবু শুধু ফোন করতে আর ফোন এলে ধরতে পারবে। নো ছবি তোলা এবং নেট ঘাঁটা।

ভদুর শাস্তি, পরদিন ভোরবেলা থেকে বাড়ির ছাদে লাফদড়ি প্র্যাকটিস। দিভাইয়ে এখন স্টাডিলিভ চলছে। ওর তত্ত্বাবধানেই ভদুর শাস্তি কার্যকর হবে। বিচারসভা বসার আগে ডাক্তারদাদুকে ফোন করা হয়েছিল। ভদুর ওজন শুনে দাদু হেসে বলেছিলেন, 'এতটা চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তোদের মেয়ের ওজন কিলোতিনেক বেশি। বড় বেশি খাওয়াদাওয়া করাস। ওটা কমা।' ফোন লাউডস্পিকারে ছিল। বড়রা হইহই করে ওঠে। এখন খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিলে শক্তপোক্ত হবে কী করে! ডাক্তারদাদু তাঁর রোগীর পুরো পরিবারকে অনেকদিন থেকে চেনেন। তাই হাসতে হাসতেই হইচই থামিয়ে বলেন, 'ঠিক আছে, যত পারিস খাওয়া ঠেসেঠুসে। তবে সকালে মেয়েকে লাফদড়ি করাস। যত বেশি খাওয়াবি তত বেশি লাফদড়ি করতে হবে। তোদের মেয়ে করতে পারলে খাওয়া। আমার আপত্তি নেই।'
সন্ধের বিচারসভায় ঘাবড়ে গিয়ে চুপচাপ ছিল অবু। রাতের ভোজসভায় আত্মপক্ষ সমর্থনে দুই বিচারপতির কাছে যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করে। দিদুর দিকে তাকিয়ে বলে, 'আমার মোবাইল ঘাঁটার জন্য ভদু মোটা হয়নি। আমাদের লাইফসায়েন্সের স্যার বলেছেন, মানুষের জিনে কিছু বংশগত বৈশিষ্ট্য লুকিয়ে থাকে। দেখো না, তুমি মোটা, বড়মামা, ছোটমামা মোটা।' অবু রেগে গিয়েছে দিভাইয়ের উপরে। তাই তাকে বিচারক হিসাবে মানতে চায় না। দিদুকেই নালিশ জানায়। দিভাই বুঝতে পারে অবুর রাগের বিষয়টা। দিদু কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। তাকে থামিয়ে ও বলল, 'পরীক্ষার আগে বাড়ির কম্পিউটারের নেট কানেকশনও কেটে দেওয়া হবে। তখন বিজ্ঞান, জিন কোথা থেকে আসে বুঝতে পারবে। সারাক্ষণ ইউটিউবে ভিডিও দেখো আর বোনকেও দেখাও। জানি না মনে করছ?'

সুবিচারের কোনও আশা নেই দেখে চুপ করে যায় অবু। বেশি তর্ক করলে শাস্তি বেড়ে যেতে পারে।

(৩)

পরদিন সকালে সারা পাড়া নন্দীবাড়ির ছাদের দিকে মাথা তুলে চেয়ে। 'ওরে ডেটল নিয়ে আয়', 'বোরোলিনটা কোথায় গেল?', 'একবার ডাক্তার ঠাকুরপোকে ফোন কর'— নানা আর্তনাদ ভেসে আসছে ছাদ থেকে। ভদু আবার পড়ে গিয়েছে।

আজ শাস্তির প্রথম পাঠ ছিল। তাই পুরো বাড়িই ছাদে। দর্শকদের উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্যে ভদু গোনাগুণতি চারটে লাফদড়ি করেছিল। তারপরই দড়ি জড়িয়ে ধপাস।

শুশ্রুষা পর্ব মেটার পরে আবার বৈঠক। সিদ্ধান্ত হল, নিজেদের তত্ত্ববধানে শাস্তি কার্যকর করার মুশকিল আছে। অন্য ব্যবস্থা করা হোক। ভদুকে ক্যারাটে ক্লাসে ভর্তি করানো হোক। সেখানে নানা কসরত করতে হয়। ও মাস্টারের ভয়ে সব করতে রাজি হবে। অবুই এক ক্যারাটে স্কুলের খোঁজ দেয়। শাস্তি যখন কমবে না তখন ভাল ব্যবহার করা যাক। ও শুনেছে, জেলে বন্দিরা ভাল ব্যবহার করলে সাজা কমে।...

প্রথম দু'দিন ক্যারাটে ক্লাস থেকে ফিরে খুশিই দেখায় ভদুকে। মনে হয়, ওর পছন্দই হয়েছে। কিন্তু তৃতীয়দিন রাতে খাবার সময় ভদুকে ডাইনিং টেবিলের কাছে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বাবা বলে, 'কী রে বস!' আজ ক্যারাটে মাস্টার ওকে প্রথম খাটিয়েছেন। গায়ে-পায়ে ব্যথা। তাই চেয়ারে উঠতে পারছে না। অবু বোনকে কোলে করে তুলে দিতে গিয়েছিল। কিন্তু দিভাইয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। ভদু উহ‌্-আহ্ করতে করতে নিজেই চেয়ারে ওঠে। সবাই হাততালি দেয়। ভদুর সাফল্যের অভিনন্দন।

দিভাই রাতে ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখায়। মোটা মোটা প্রাণীদের কার্টুন। একটা মোটা চিতা গাবলু একটা হরিণ ধরতে গিয়ে উল্টে গেল। গোলু শুয়োরটা নাকের কাছে পড়ে থাকা আপেলটা ধরতে গিয়ে গড়িয়ে কী নাকাল! ভদু তো ঘর কাঁপিয়ে খিলখিলিয়ে হাসে। দিভাই বলে, 'মোটাদের এরম কষ্ট হয়।' শুনে ভদুর মুখটা গম্ভীর হয়ে যায়। মনে মনে ভাবে, এই জন্য ভিডিও দেখালে তুমি।...

ভদুর পাউট

কয়েকমাস পরের ঘটনা। টেস্টে অবু দারুণ রেজাল্ট করেছে। স্কুলের স্যারেরা মামাদের ওর সম্পর্কে ভাল ভাল কথা বলেছেন। ওর ওপর অনেক আশা। অবু নিজেও প্রত্যাশার চাপটা বুঝতে পারছে। এখন কম্পিউটারের ধারে কাছে যায় না। মামিরা বলেছে, উচ্চমাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট করলে দামি ফোন কিনে দেবে। তাতে দারুণ দারুণ সেলফি তোলা যায়।

তবে ভদুর খুব যে উন্নতি হয়েছে তা নয়। স্থানীয় একটা ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় ও ছয় নম্বর হয়েছে। কিন্তু ওর ওজনটা স্বাভাবিক ওজনের থেকে পঞ্চাশ গ্রাম কমে গিয়েছে। তা নিয়ে বাড়িতে হইচইয়ের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ডাক্তারদাদু এক ধমকে থামিয়ে দেন। বলেন, 'ওটা কোনও ব্যাপার নয়। মেয়ে তো এখন নিজে থেকেই খায়। যতটা প্রয়োজন ততটাই।' ডাক্তারদাদু এটা ঠিক কথা বলেছেন। ভদুকে আর 'খা না রে', আরেক গাল নে না রে' করতে হয় না। ও নিজেই প্রয়োজন মতো খায়। চকোলেট, চিপস খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিয়েছে।

ষষ্ঠ হলেও দিভাই ভদুর ওপর খুশি। কলকাতা থেকে ফোনে জানিয়েছে, ভদু প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য যে সার্টিফিকেটটা পেয়েছে সেটা নিয়ে যেন সকলের সঙ্গে ছবি তুলে ওকে পাঠানো হয়। ও ফেসবুকে কভার পিকচার করবে। অবুকে একদিনের জন্য ফোন ফেরত দেওয়া হয়।

গ্রুফি (গ্রুপ সেলফি) তোলার জন্য 'হইচই হাউসে' আবার শোরগোল। উত্তেজনায় ঠাম্মি বলে, 'ভদু পাউট কর, পাউট।' তারপর নিজেই মুখটা বেঁকিয়ে দেখায়। সকলে হেসে ওঠে।

না, ভদু পাউট করেনি। ঠাম্মির কাণ্ডকারখানায় আর সকলের হাসিতে ও ভারী লজ্জা পেয়েছিল। দিভাই ওর লাজুক মুখের ছবিটাই ফেসবুকে কভার ফটো করেছে।

ছবিঃ শিল্পী ঘোষ

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা